মোঃ রুম্মান হাওলাদার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
চাঁদা না দেওয়ায় মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা থেকে বাগেরহাটে সুপারি নেওয়ার সময় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদী অতিক্রমকালে একটি মহল চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার সহ ৪ জনকে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
হয়রানির শিকার মোঃ শাহজাহান হাওলাদার (৬০) মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তুষখালী এলাকার মোঃ হোসেন আলী হাওলাদারের পুত্র।
ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের দাবি,ঘটনার সময় চেয়ারম্যান চক্ষু চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।আবাসিক হোটেলে থাকার প্রমানস্বরূপ সিসি ফুটেজ রয়েছে। যদিও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।তাছাড়া নদীর মাঝখান থেকে কিভাবে পালিয়ে গেছে তা উল্লেখ করা হয় নি।মূলত,চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল ভুল তথ্য দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা গেছে,গত ২৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টার দিকে নৌপথে সুপারি পরিবহনের সময় ২টি ফিসিং বোটে থাকা ১ কোটি ২০ লাখ টাকার শুকনা সুপারি চোরাচালানের অভিযোগে জব্দ করে নেছারাবাদ থানা পুলিশ। বোটের মাঝি সহ স্টাফ এবং শ্রমিক নিয়ে ওই ২টি বোটে ২৬ জন শ্রমিক ছিল।এদের মধ্যে ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদেরকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিগন দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মালামাল কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচার করে আসিতেছে। জব্দকৃত সুপারিও তারা ভারতে পাচার করার চেষ্টা করছিল।
নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদী এলাকা অতিক্রম করার সময় কোন শুল্ক ঘাঁটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা অথবা সন্ধ্যা নদী নির্দিষ্ট কোন চোরাই পথ কিনা এবং ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার ঘটনার সময় ঢাকায় অবস্থান করলেও এজাহারে তাকে ঘটনাস্থল থেকে পলাতক আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে কেন – তা জানার জন্য পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত খাঁন (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) জানান,বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকতা বলতে পারবেন।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহেদুর রহমান জানান,মামলা সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে।তবে হয়রানির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।