Take a fresh look at your lifestyle.

এত নোংরা মানুষ দুনিয়াতে আছে, কল্পনাও করতে পারি না: নিলয়ের স্ত্রী

১৭৫

ছোট পর্দার অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ব্যক্তিগত জীবনে তাসনুভা তাবাসসুম হৃদির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। নিলয়ের স্ত্রী একজন উদ্যোক্তা, ব্লগার, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার। স্বাভাবিক কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব তিনি। কিন্তু নেটিজেনদের নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে বিরক্ত হৃদি। ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

হৃদি তার লেখার শুরুতে বলেন, ‘আমি সত্যি কিছু কিছু মানুষের উপর বিরক্ত। পরিচিতি পেতে নেগেটিভ কমেন্টকে প্রমোট করার মেয়ে আমি না। আমি এসব নিতেও পারি না। কিছু কিছু মন-মানসিকতা দেখে আমি সত্যিই জগতটাকে অন্যভাবে চিনছি। এত নোংরা মানুষ যে দুনিয়াতে আছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় না আসলে কল্পনাও করতে পারতাম না।’

হৃদি নিজেকে সাধারণ মেয়ে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি খুবই সাধারণ একটা মেয়ে, নিজের মতো কাজ করতাম। আইডিতে ১২ হাজার ফলোয়ার নিয়ে খুব ভালো ছিলাম। এখানে হয়তো আমার অনেক পুরোনো ফলোয়ারও আছেন। যারা আমার আবৃত্তি শুনতেন, নিউজ দেখতেন। বিয়ের পর হঠাৎ করেই অনেক কাজের প্রস্তাব আসে। আর পাঁচজন সাধারণ মেয়ের মতো আমিও প্রমোশনের অফারগুলো নিতে শুরু করি। এখন আমি বেশ সফল একজন ব্র্যান্ড প্রমোটার। কিন্তু এটার আড়ালে নিজের পরিচয়টা দেখছি হারিয়ে যাচ্ছে; বিষয়টা নেয়া খুবই কষ্টকর আমার জন্য।’

 

নেটিজেনদের কেউ কেউ হৃদির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যখন আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, আমার হাজার কাজ, হাজার সার্টিফিকেট দেখিয়েও নিজের সেই পুরোনো পরিচয় তাদেরকে মানাতে পারি না। তখন আমি নিতেই পারি না। আমি নিউজ প্রেজেন্টেশন করেছি, সেটা তারা মানে না। আমি ভালো আবৃত্তি করি বললেও দোষ। আমার স্কুল কলেজ, এমনকি ফেসবুকের বন্ধুরা সবাই জানে আমি কি কি করেছি। তাও যখন কিছু কতিপয় মানুষ এসে আমাকে অযোগ্য বলে, আমি নিতেই পারি না।’

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে হৃদি বলেন, ‘বাহ্যিক দুনিয়া যে বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে বিচার করা হয়, এটা আমি আগে জানতাম না। আমাকে তুলনা করে, আমার সৌন্দর্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অথচ আমি যে আমার মতো সুন্দর এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। এখন আমারও মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। আমি খুব ধৈর্যশীল, মিষ্টভাষী মেয়ে। যতই চাই সবাই আমাকে পজিটিভভাবে দেখুক, তাদের হিংসা, বিদ্বেষ আমাকে ততই নিচে নামিয়ে দেয়। কনফিডেন্স ভেঙে দেয়। আমি বুঝতেই পারলাম না, আমি ভালো থাকলে তাদের কি সমস্যা? পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে না জেনে নিজের মনগড়া মন্তব্য করে তারা, তুলনা করে। এসব আমি আর নিতে পারি না ভাই।’

 

নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে হৃদি বলেন, ‘ব্র্যান্ড প্রমোশন করছি ভালো লাগে তাই। কাউকে জোর করে আমার ভিডিও দেখতে বলছি না। তারা দেখবেও, বাজে কথাও বলবে। কি অদ্ভুত কলুষিত জাতি আমরা, কতটা নিচ আর জঘন্য। কেউ অপরাধী না হলেও তাকে অপরাধীর কাঠগড়াও দাঁড় করাবে। যদি সত্যিই আমার মন আয়নার মতো সচ্ছ হয়ে থাকে, আমি দোয়া করে যাচ্ছি, আমাকে যা যা বলছেন, সব যেন আপনারা ফেরত পান। আর আমার কথা তখন যেন মনে পড়ে। আমি কেউ না, তাতেই এই অবস্থা। যারা অনেক বড় বড় মানুষ, তারা যে আপনাদের কীভাবে সহ্য করে, আল্লাহ জানেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.