আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের জন্য ৬টি সংসদীয় আসন ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬১টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
আওয়ামী লীগ ২৬১টি, জাপা ২৬টি এবং জোট শরিকদের ৬টি আসন মিলে হয় ২৯৩টি আসন। তবে ৩০০ আসনের মধ্যে বাকি ৭টি আসনে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি বিপ্লব বড়ুয়া।
এদিন ইসিতে আওয়ামী লীগের দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলগত ও জোটগতভাবে অংশগ্রহণ করবে মর্মে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছিল।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলসমূহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক কিংবা তাদের স্ব স্ব দলের দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে এবং এ বিষয়টি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা হবে। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীদের প্রত্যাহার করা হলো।
জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।