আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে কে জয় পেল বা না পেল সেটা আলাদা বিষয়, কিন্তু ১৪ দল আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে চৌদ্দ দলের অনেকে প্রার্থী দিয়েছিল, নির্বাচন করেছে, আর নির্বাচনে জেতা না জেতা আলাদা কথা, কিন্তু আমাদের এই জোট থাকবে।
থাইল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই ১৪ দল নিয়ে প্রশ্ন আসে।
একজন সাংবাদিক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর চৌদ্দ দলীয় জোটের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। এমন কি অনেকে বলছেন, চৌদ্দ দল থাকবে না। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্য জানতে চান সেই সাংবাদিক।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, চৌদ্দ দল তো অবশ্যই আছে। থাকবে না কেন? তাদের সাথে আমাদের সব সময়ই যোগাযোগ আছে। যোগাযোগ নেই তা তো না। এখন দু-চারজন বিক্ষিপ্তভাবে কী বলছে আমি জানি না। আমাদের যিনি সমন্বয় করেন, আমির হোসেন আমু সাহেবের ওপর দায়িত্ব দেয়া আছে দলের পক্ষ থেকে।
শিগগিরই ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠক করবো। কার্যনির্বাহী বৈঠক করেছি, আমাদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করবো এবং আমি চৌদ্দ দলের সাথেও বসবো। তাছাড়া অনেকের সাথে আমার নিজেরও যোগাযোগ আছে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সবার সাথে যোগাযোগ রাখেন।
আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি ব্যাপকভাবে উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের পঁচাত্তর বছর উদযাপন করবো খুব ব্যাপকভাবে। সেখানে আমরা আলোচনা করছি, বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা দেখবো, কোন কোন দেশকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে পারি বা কারা আসতে পারে সেটাও আমাদের আলাপ-আলোচনায় আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেই বিষয়েও আমরা কর্মসূচি নিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন উপ-কমিটি করে দিচ্ছি। আরও সুন্দরভাবে যাতে আমরা সব করতে পারি। কারণ, আমাদের দল উপমহাদেশে একটা বড় দল… পঁচাত্তর বছর উদযাপন করছে এটা তো কম কথা না।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়। ২০০৮ সাল থেকেই ১৪ দল ও আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে আসছে।