আরাবি ইসলাম সুবা বরিশালের একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য দুমাস আগে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিল।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় নিখোঁজ হয় সে।
ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।
তাকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে শহরের আরজী নওগাঁ এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী সুবাকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে উদ্ধার হওয়ার পর ভিডিও বার্তায় সুবাকে বলতে শুনা যায়, ‘আমি ভালো আছি। আমি বাবার কাছে ফিরে যাব।’
ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সুবার লোকেশন নওগাঁ দেখানোর পর থেকেই আমাদের টিম তৎপর ছিল। একপর্যায়ে আমরা জানতে পারি তারা শহরের আরজী নওগাঁ এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছেন। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে তারা পালিয়ে পাশের বাসায় অবস্থান নেয়।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যে ছেলের সঙ্গে সুবা নওগাঁ এসেছে তার নাম মোমিন হোসেন। তার বাসা নওগাঁ শহরের আরজী নওগাঁ এলকায়। প্রথমে তারা মোমিনের বাসাতেই অবস্থান করছিল। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে তারা পালিয়ে পাশের বাসায় অবস্থান নেয়। মোমিনের বাবাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তখন তিনি আমাদেরকে তাদের লোকেশন দেখিয়ে দেন। আমরা সেখান থেকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট র্যাব-৫ এর হাতে তুলে দেই।
নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মোমিন ঢাকার একটি পোশাকের দোকানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন। টিকটকের মাধ্যমে তাদের দুজনের পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তাদের বিয়ে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সুবার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জে। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার ফুপুর বাসায় থাকত।