বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠ জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই জোরালোভাবে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নিজের কথা তুলে ধরছেন ও ভোট চান।
এদিকে অন্যদের সঙ্গে সমানতালে প্রচারণা চালিয়ে আলোচনায় রয়েছেন মাত্র ২৫ বছর বয়সী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহবাজ মিঞা শোভন।
এত অল্প বয়সে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতূহল থাকলেও তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন ভোটাররা, এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও এতে অখুশি নন।
জানা গেছে, নিজের তেমন একটা কর্মী-সমর্থক না থাকলেও প্রচারণার মাঠে যেখানেই যাচ্ছেন লোকের অভাবও হচ্ছে না। আবার তার ঘনিষ্ঠ ও পরিচিতিরাই নিজ উদ্যোগে পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণার কাজ এগিয়ে নিতে সহায়তা করছেন।
ভোটের মাঠের সার্বিক বিষয়ে শাহবাজ মিঞা শোভন বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু একসময়ের বাকেরগঞ্জ জেলা আজ উপজেলা হিসেবে পরিচিত। ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাকেরগঞ্জ আজ অবহেলিত জনপদ। আমার মোটো হলো- আমরাই গড়ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ, সম্ভাবনার আগামীর স্মার্ট বাকেরগঞ্জ।
তিনি বলেন, আমরা যারা উচ্চ শিক্ষিত হই, তাদের মধ্যে অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করি। কিন্তু কামার-কুমার, জেলে, তাঁতী এদের মতো মানুষের টাকায় কিন্তু আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করছি। কিন্তু সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দেশের জন্য সার্ভিস সেই অর্থে দিচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, আমি বা আমার মতো কেউ নির্বাচন বা রাজনীতিতে এলে এবং ভালো কাজ করলে তরুণরাও ভবিষ্যতে আরও আগ্রহী হবেন। তারাও ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহবাজ মিঞা শোভন বলেন, আমি দেশের ইতিহাসে সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। আমি যেদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করি সেদিন আমার বয়স ছিল ২৫ বছর ২ মাস ১৩ দিন। আর আমার মনোনয়নপত্র বৈধও হয়। এর আগে নাটোরে আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ২৭ বছর বয়সে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছিলেন। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাকগ্রাউন্ডেও আমিই একমাত্র প্রার্থী যে এতো অল্প বয়সে সংসদ নির্বাচনে এসেছি।
নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে স্বতন্ত্র শাহবাজ মিঞা শোভন বলেন, কোটি টাকা খরচের খবর সবসবময় আমরা শুনছি, তবে নির্বাচনী ব্যয়ের খাতে ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করা যাবে না। আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও একটি ফার্মের স্বত্বাধিকারী। সেই হিসেবে হালাল আয়ের মধ্য দিয়ে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আর আমার পরিবারের সবাই আমাকে সহায়তাও করছে।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী ব্যয় অনেক কম, কারণ আমার কর্মী-সমর্থকরা নিজ উদ্যোগে আমার জন্য প্রচারণার কাজটি করছেন। সেই সঙ্গে ব্যাচের বন্ধুবান্ধব এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরামের পক্ষ থেকেও পোস্টারসহ প্রচারণায় স্পন্সর করছেন অনেকে।