ডিবি অফিসে বোয়াল মাছ খেয়ে কারা পালিয়েছিল’, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কাছে তা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গয়েশ্বর এতদিন কোথায় ছিলেন, সে প্রশ্নও তুলেছেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এতদিন কোথায় ছিলেন গয়েশ্বর বাবু? গয়েশ্বর বাবু আজ হাজির হয়েছেন। কোথায় ছিলেন এতদিন? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাবো না। আমরা পালিয়ে যাব। কে পালিয়েছে? ডিবি অফিসে বোয়াল মাছ খেয়ে পালিয়েছিল কারা? গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাননি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর? কবে হবে আন্দোলন? এই বছর না ওই বছর? রোজার পর না কোরবানির পর?
বিএনপি মানেই হচ্ছে ‘ভুয়া’, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। বিএনপি আন্দোলন করে ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে পাবলিক সাড়া দেয় না। পাবলিক আন্দোলন মানে না। অবরোধ ডাক কেউ শোনে না। হরতাল ডাকে রাস্তায় যানজট!
আগামী ৩০ জানুয়ারি সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাহারায় থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৈরি হয়ে যান, (বিএনপি) ৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, মহানগর, জেলা, উপজেলা, সারা দেশে সেদিন আপনারা, লাল সবুজ পতাকা হাতে শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন। এই অপশক্তিকে আমরা বাড়তে দিতে পারি না। তাদের রুখতে হবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা একটা হয়ে গেছে; নির্বাচনে হয়ে গেছে। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। খেলা হবে জঙ্গিবাদ, হরতাল, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ৷ বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহনগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা।