কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘মরিচের দাম দুইশ টাকা, পিয়াজের দাম আড়াইশ টাকা, রসুনের দাম সত্তুর টাকা পোয়া। এই রকম বাজার দরে যারা খুশি তারা নৌকায় থাকুন আর যারা বেজার, যারা বলেন এমন লাগামহীন বাজার দর আমরা পছন্দ করি না, চাই না, তাদের গামছা ধরতে হবে। শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে জয়ের সাথে এই নির্বাচন না। এই নির্বাচন গমছার সাথে নৌকার নির্বাচন।’
সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন এলাকায় গামছা মার্কার প্রথম এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আমার মনে হয় এবার আমরা একটি উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারবো। হাজার হাজার ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে। এবার যদি ভোট চুরি করতে চায়, কেউ যদি ভোট চোর ধরিয়ে দিতে পারে, আমি তাকে পুরুস্কার দিবো। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অফিসারদের বলি, যদি চাকরি টিকাতে চান তাহলে ভোট কেন্দ্রে চুরি-চামারি করা যাবে না।’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম স্থানীয় জনতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা বাপ-দাদার বসতবাড়ি ফরেস্টাররা নিয়ে গেলে খুশি, তারা নৌকা করেন। যারা খুশি না তারা আমার গামছা ধরেন। এখন যদি ফরেস্টারদের অত্যাচার আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে আমার কিছু করার নাই। যাদের কাছে ফরেস্টারের অত্যাচার পছন্দ না যে যেখানে আছি আমি সেখানেই থাকবো, আমার বাপ-দাদার কবর কেউ ছুঁতে পারবে না, তাদের গামছা ধরতে হবে।’
এ সময় শাজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, সাবেক ভিপি শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ।