Take a fresh look at your lifestyle.

ইসরায়েলে হামলার জন্য বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করেছে হামাস

৩২৮

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস শনিবার হঠাৎ করেই ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে অংশ নেয় হামাসের এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে গঠিত বিশেষ একটি বাহিনী। হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানিয়েছে, ২০২১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সর্বশেষ লড়াইয়ের পর সংগঠনটির যোদ্ধারা গাজা উপত্যকায় প্রশিক্ষণ শুরু করেছিল। অর্থাৎ হামলার মহড়া চালিয়েছিল। প্রশিক্ষণে ইসরায়েলি সেনাদের বন্দী করাসহ নানা ধরনের কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল। হামাসের এই বিশেষ ইউনিটগুলো হচ্ছে-

ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট: শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়তে শুরু করে হামাস। এভাবে রকেট ছোড়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ইসরায়েলকে অপ্রস্তুত ও বিভ্রান্ত করা। যাতে সেই সুযোগ নিয়ে হামাসের যোদ্ধারা সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে অভিযান চালাতে পারেন।

 

বিমানবাহিনী ইউনিট: বিমান হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা নেই হামাসের। তাই এ অভিযানের জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করে। প্যারাগ্লাইডার দিয়ে এই ইউনিটের যোদ্ধারা প্রথমে সীমান্ত পার হন। পদাতিক যোদ্ধাদের মূল অভিযান চালানোর পথ সুগম করে দেওয়ার কাজটি করেন তারা।

এলিট ইউনিট: হামাসের সবচেয়ে দক্ষ ৪০০ যোদ্ধা ছিল এই ইউনিটে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া ভেঙে এই ইউনিটের সদস্যরাই প্রথম ইসরায়েলে ঢোকেন।

 

ড্রোন ইউনিট: সীমান্তে নজরদারির জন্য এই অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করেছে হামাস। যোদ্ধাদের সীমান্ত পার হওয়ার পথ তৈরি করে দিতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন। এসব ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে পরে সুবিধামতো সময়ে যোদ্ধাদের পাঠানো হয়।

গোয়েন্দা ইউনিট: ইসরায়েলের সেনাদের ওপর নজরদারির দায়িত্বে ছিল হামাসের গোয়েন্দা ইউনিট। ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান, গতিপথ ও চলাফেরার বিষয়টি নজরদারি করতেন এই ইউনিটের সদস্যরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.