১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সপ্তম আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। এ আসরে প্রথম অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবার অংশ নিয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের বিজয়ের আনন্দে ভেসেছিল গোটা বাংলাদেশ। বিজয় মিছিলে ‘গুড লাক বাংলাদেশ’ গানটি ছিল মানুষের মুখে মুখে। অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের লেখা এ গানের সুর করেছিলেন সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন— সৈয়দ আব্দুল হাদী, সুবীর নন্দী, শাকিলা জাফর ও শুভ্র দেব।
এদিকে ফের ভারতে বসেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এ উপলক্ষে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ‘গুড লাক বাংলাদেশ’ গানটি নতুন করে রেকর্ড করা হলো। এবার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন শুভ্র দেব ও কোনাল।
স্মৃতি হাতড়ে এ বিষয়ে শুভ্র দেব বলেন, ‘১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ নর্দাম্পটনে বিশ্বকাপে যখন প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারায়, তখন এই গান গেয়ে রাস্তায় রাস্তায় মিছিল হয়েছিল। জনপ্রিয় অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর এই গানটি আমার ঐকান্তিক অনুরোধে লিখেছিলেন। গানটি সুর করেছিলাম আমি। গানটি গেয়েছিলেন বাংলা সংগীতের দুই দিকপাল সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সুবীর নন্দী। আমিও গেয়েছিলাম আর ছিলেন স্বনামধন্য গায়িকা শাকিলা জাফর।’
‘গুড লাক বাংলাদেশ’ গানটি শুনতে ক্লিক করুন
রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শুভ্র দেব বলেন, ‘প্রায় ২৩ বছর (২৪ বছরের বেশি) পর গতকাল চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে গানটি আবার নতুন করে রেকর্ডিং হলো। আমার সঙ্গে কোনাল অসাধারণ গেয়েছে। অনেক বছর পর বাংলাদেশের শ্রোতারা একজন ভালো সংগীতশিল্পী লাভ করলো। আমি খুবই মুগ্ধ কোনালের প্রতিভায়। কারণ এত কঠিন গানটি সে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে গাইতে পেরেছে। নতুন প্রজন্মের অনন্যা ও তারিক মৃধা প্রতিভাবান; ওরাও ভালো গেয়েছে। এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল অনন্যা রুমা এই গানটির ভিডিও নির্দেশনা ও সার্বিক তত্বাবধানে আছেন।’
আগামীকাল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নতুন গানটি প্রচার হবে। তা জানিয়ে শুভ্র দেব বলেন, ‘‘সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন আমার অত্যন্ত প্রিয় আজম বাবু, যিনি আমার ‘এ মন আমার পাথর তো নয়’সহ অসংখ্য গানের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার। চ্যানেল আইয়ের প্রাণপুরুষ ফরিদুর রেজা সাগর ভাইয়ের অকৃত্রিম সহযোগিতায় আশা করি, আগামীকাল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেট ম্যাচে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় আপনারা দেখতে পারবেন ‘গুড লাক বাংলাদেশ’ গানটি। বাংলাদেশ দলের জন্য রইল শুভকামনা।’’