ভারোত্তোলনে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। নারীদের ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণির ‘বি’ গ্রুপে পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে হয়েছেন চতুর্থ। তুলেছেন ১৭৫ কেজি। স্ন্যাচে সর্বোচ্চ ৭৭ ও ক্লিন এন্ড জার্কে ৯৮ কেজি ওজন তোলেন। তার গ্রুপে সর্বোচ্চ ২১৫ কেজি তোলেন ইন্দোনেশিয়ার সাবিথা রামদানি।
তার যে পারফরম্যান্স তাতে সেরা দশেও হয়তো থাকতে পারবেন না। নিজের সেরাটা দিতে না পারায় হতাশ মাবিয়া, বাজে পারফরম্যান্সের কারণ খুঁজছেন নিজেও।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ার বেস্ট না। আমি এর থেকে আরও ভালো কিছু করার প্রত্যাশা করেছিলাম। এ বছর আমি সবচেয়ে ভালো ট্রেনিং করেছি। আমার পারফরম্যান্সও অনেক হাই ছিল। কিন্তু এখানে কেন এমন হলো আমি হিসাব মেলাতে পারছি না। হয়তো খারাপ হয় এক-দুই কেজি। কিন্তু আমার প্রাকটিস অনেক ভালো ছিল। ডায়াসে সেটা দিতে পারলাম না।’
‘২০২৩ সালটি আমার জন্য সবচেয়ে অভিশপ্ত বছর হিসেবে থাকবে। এ বছর আমি আমার বেস্ট প্রাকটিস করে বেস্টটা ন্যাশনালেও দিতে পারিনি, এখানেও দিতে পারলাম না। নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। কষ্ট লাগছে।’ – যোগ করেন মাবিয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘এটাই হয়তো আমার ক্যারিয়ারের শেষ এশিয়ান গেমস। নিজের সেরাটা দিতে পারলে ভালো লাগতো। আমি এখানে আসার আগে বলে আসছিলাম যে টপ টেনে থাকবো। কিন্তু এখন মনে হয় না থাকতে পারছি। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স করলাম। আমি নিজেই সন্তুষ্ট না। জানি না কেন এমন হলো।’
উল্লেখ্য, ‘এ’ গ্রুপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে পদক।