বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২৩ সালে (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২,২৮৮ কোটি ৬৬ লক্ষ ৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে।
জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২৬০ কেজি ৫৬৭ গ্রাম স্বর্ণ, ২৪৬ কেজি ১৪৭ গ্রাম রূপা, ২,১১,৪৩৮টি শাড়ি, ৭৯,৩৯০টি থ্রিপিস-শার্টপিস, ২৬,৫৬৮টি তৈরি পোষাক, ২৭,২৮,২০৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২৯,৪৯৮ ঘনফুট কাঠ, ৯০,৬১৩ কেজি চা পাতা, ১১,১৩,৮৩৬ কেজি কয়লা, ১,৬৬,০৯৩ ঘনফুট পাথর, ১,৫২,১৮৮টি ইমিটেশন গহনা, ৪৩টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০,৪০৪ কেজি কারেন্ট জাল, ১,৪৯০ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৩,২৭৩ প্যাকেট কিটনাশক, ১০৭ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭৮টি ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ৬৬টি প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, ৯৯টি পিকআপ, ২৮০টি সিএনজি-ইজিবাইক এবং ৮৮২টি মোটরসাইকেল।
একই সময়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪৫টি পিস্তল, ২টি রাইফেল, ২টি রিভলভার, ৫৯টি সকল প্রকার গান, ১,২৪৬ রাউন্ড গুলি, ৫৩টি ম্যাগাজিন, ৬টি মর্টার শেল, ১৪টি ককটেল, ২৭ কেজি গান পাউডার, ১৯৫ কেজি সালফার এবং ২৪.২০০ কেজি বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু।
এছাড়াও গত বছর বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১,৪৭,৩৪,৭৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৪২ কেজি ৯৪৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১,৮৫,৮৩৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩,০৪,৭৪৯ বোতল বিদেশি মদ, ৯,২৬৩ লিটার বাংলা মদ, ৫৭,৮৯৯ ক্যান বিয়ার, ২২,২২৯ কেজি গাঁজা, ৩৩০ কেজি ৭৯৩ গ্রাম হেরোইন, ১২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম কোকেন, ৫,৯৮,৫৮৯টি নেশা জাতীয় ও উত্তেজক ইনজেকশন, ১,৫৩,২১০টি এ্যানেগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৬৫,৬৬৪টি ইস্কাফ সিরাপ, ১,৩৩,৫৮,৩৭৭টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ২১,৫০৩ বোতল এমকেডিল-কফিডিল এবং ৩৩,৫০,৩৫৪টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
এছাড়া ২০২৩ সালে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২,৩৬৭ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৯৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৭৭ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৮৫৭ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বিজিবি কর্তৃক ১,৫৬৫ কোটি টাকা মূল্যের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২০২৩ সালে প্রায় ৭২৩ কোটি টাকা অধিক মূল্যের চোরাচালানি পণ্য জব্দ করা হয়েছে।