বিপিএলে তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল খুলনা টাইগার্স।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন বরিশাল ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। তিনে নেমে তামিমকে সঙ্গ দেন কাইল মেয়ার্স। ৫৭ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান তারা। ২৫ রানে মেয়ার্স বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন তামিম। ৩২ বলে তাদের ৩৯ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়।
লড়তে থাকা তামিম ৪০ বলে পান পঞ্চাশের দেখা। যদিও মুশফিক পারেননি। ২৪ বলে ১৭ রান নিয়ে তিনি বিদায় নেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে যান তামিমও। এর আগে খেলে যান ৪৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের এক দারুণ ইনিংস। শেষদিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২ ও সৌম্য সরকারের ৬ রানে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার হয়ে সুনিল নারিন ওপেনিংয়ে থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৬ রান যোগ করে তিনি বিদায় নেন। অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাট থেকেও তেমন রান আসেনি। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি। তিনে নেমে অবশ্য থিতু হন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গ দেন মঈন আলী। ৩০ বলে তাদের ৩৬ রানের জুটিই ইনিংসে সর্বোচ্চ।
চতুর্দশ ওভারে ম্যাককয়ের ওয়াইড বল ব্যাটে লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন হৃদয়। ২৬ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মঈনও। ২২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। ছয়ে নেমে ১১ বলে ১৪ রান করে উইকেট হারান আন্দ্রে রাসেল।
শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন জাকের আলী অনিক। ১৬ বলে ৩৮ রানের এক ক্যামিও ইনিংসে কুমিল্লাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন তিনি। ৪ ছক্কা ও ২ চারে ইনিংসটি সাজানো ছিল তার।
বরিশালের পক্ষে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। দু’টি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়।