পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ।
সোমবার শপথবাক্য পাঠ করে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন তিনি।
সাধারণ নির্বাচনের পর এক মাস পর রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটিতে পিটিআই’র প্রার্থী ওমর আইয়ুবকে হারিয়ে দেশের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শাহবাজ শরিফ। ২০১ সংসদ সদস্যের ভোট নিশ্চিত করেন তিনি।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুতাহিদ্দা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) এবং ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) মতো দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নেতাদের মধ্যে ছিলেন পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরীফ, পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি এবং পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি।
পাকিস্তানে গত মাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল পিটিআইকে বাইরে রেখেই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক অনিয়ম ও সহিংসতার মধ্যদিয়ে শেষ হয় ভোটগ্রহণ। কারচুপি হয় ফলাফলেও। এরপরও পিটিআই সমর্থিক প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে (৯৩টি) জয় নিশ্চিত করেন।
ফলাফলের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। কিন্তু বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি পিটিআই। সেই সুযোগ পেয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া পিএমএল-এন (৭৫টি আসন) ও পিপিপি (৫৪টি আসন)।
ভোটগ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনে অনিয়ম ও ফল কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে আসছে পিটিআই ও আরও কয়েকটি দল। এর মধ্যেই চলতে থাকে সরকার গঠনের তোড়জোড়।
নির্বাচনের পর গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রথম অধিবেসন বসে। ওইদিনই শপথ গ্রহণ করেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। এর চারদিন পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেহবাজ শরিফ।
সূত্র: জিও নিউজ।