ঢাবিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

    • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংস্কৃতিক সংসদ কর্তৃক আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ‘চিরন্তনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শুরুতে নজরুলের “অঞ্জলি লহ মোর” গানের মধ্য দিয়ে এ দুই মহান ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আনন্দমুখর এই সন্ধ্যায় ছিল রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, নৃত্য পরিবেশনা, কবিতা আবৃত্তি, পত্রপাঠ সহ মোট ১৮ টি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে ভূপেন হাজারিকার “সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনাতে নজরুল” গান দিয়ে যেন বলতে চাওয়া হয়েছে বাঙালি হৃদয়ের কতটা গভীরে অবস্থান করছে রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি দেবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ শুদ্ধ বাংলা সংস্কৃতি ধারণ করে, লালন করে এবং চর্চা করে। আর রবীন্দ্র, নজরুল ছাড়া বাংলা সংস্কৃতি, বাংলা সাহিত্য অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা রবীন্দ্র-নজরুলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং সেইসাথে সকলে জানবে বাংলা সাহিত্য কতটা সমৃদ্ধ এবং সুবিশাল।

সাধারণ সম্পাদক কে এম তানভীরুল হক বলেন, রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল জড়িয়ে আছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। রবীন্দ্রনাথের গান ছাড়া সকাল শুরু হয় না আমাদের, তেমনিভাবে নজরুলের প্রতিবাদী সুর যেকোনো অনাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রত্যয়ী করে তোলে। বাঙালির জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই দুজন মহান মানুষের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে তাই আমাদের নিবেদন চিরন্তনী। আমরা আশা করছি এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীন প্রজন্মের ভেতরে আমরা রবীন্দ্র-নজরুল প্রেমের বীজ বুনে দিতে পারব।

 

 

প্রসঙ্গত, বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের দুই মহান পথিকৃৎ, বাঙালির প্রাণের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চিরন্তন মিশে আছেন আমাদের অস্তিত্বে, মননে। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের অনন্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আয়োজিত হয়েছে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

Comments (০)
Add Comment