ডিজেলে কমলো ৭৫ পয়সা, অকটেনে ৪, পেট্রোলে ৩ টাকা

জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৭৫ পয়সা থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে।

নতুন দাম বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে।

৭ মার্চ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় (২০২২ সালের ২৯ আগস্ট) পরবর্তী সময়ে কোভিড মহামারি-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সমুদ্র পথে জ্বালানি পণ্যের  প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বীমা এবং ব্যাংক সুদের হারও ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধু মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।

এ পরিস্থিতিতে প্রাইসিং ফর্মুলা বা গাইডলাইনের আলোকে ডিজেল ও কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন ফর্মুলা অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৯ টাকায়।

প্রতি লিটার অকটেনের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ৩ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২ টাকা। বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

ফর্মুলা বা গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি বা ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

গত মঙ্গলবার দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমবে বলে ইঙ্গিত দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সে সময় চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

তার আগে চলতি মার্চের প্রথম দিনই মাসে মাসে দাম সমন্বয়ের নির্দেশিকা প্রকাশ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সেই নির্দেশিকায় চলতি মাস থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানির দাম পুনর্নির্ধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেছিলেন, জ্বালানির দাম সমন্বয়ের ফলে দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে। সামনের মাসে বিশ্ববাজারে দাম কমলে তখন আরও কমানো যাবে।

Comments (০)
Add Comment