দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি এ আসনে দল মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে মনোনয়নপত্র বাতিলের এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুসারে প্রার্থী হতে হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব অগ্রহণযোগ্য। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। বৈধতা পেয়েছেন ৪৫ প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মোট ৫৫ প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন।
বরিশাল-৪ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আসাদুজ্জামানের মনোনয়ন দল থেকে বাতিল করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
আর বরিশাল-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রিয়াজ মোর্শেদ জামান খান হলফনামা দাখিল করেননি এবং তার দলীয় মনোনয়ন নেই বলে তারটি বাতিল হয়।
বরিশাল ২ আসনে জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) মনোনীত ব্যারিস্টার আলবার্ট বাড়ৈ হলফনামার তিনশ টাকার কোর্ট ফি সংযুক্ত করেননি এবং দলীয় মনোনয়ন ঠিকভাবে পূরণ করেননি। এজন্য তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
একই আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মিরাজ খান ঋণখেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
বরিশাল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শামসুল আলম ঋণখেলাপি হওয়ায়, জাকির হোসেন খান ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং এক শতাংশ ভোটার সমর্থন সঠিক না হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
শাহরিয়ার মিঞার এক শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকায়, নূরে আলম সিকদারের এক শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস হুমায়ূন কবিরের মনোনয়ন বাতিল করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
বরিশাল ৬ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শামসুল আলম ছিলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।