নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদস্যরা (মেম্বার)।
শনিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কেদারপুর ইউনিয়নের সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মুসা আলী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২ নম্বর কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর অপরাপর অপরাধ ও অভিযোগসহ বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে আমরা ইউপি সদস্যরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছি। অনাস্থা প্রস্তাবটি লিখিত অভিযোগ আকারে গত ১৮ মার্চ বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে দাখিল করেছি। যে লিখিত অভিযোগে সংরক্ষিত ও সাধারণসহ ৯ জন ইউপি সদস্যের সই রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২ নম্বর কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার থেকে বরাদ্দ করা ব্রান, কাবিখা, কাবিটা, টিআর কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামোর বরাদ্দ করা সামগ্রী, অর্থ সঠিকভাবে বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন। এমনকি তিনি দুঃস্থ-গরীব লোকের ভিজিটি কার্ডের চাল আত্মসাৎ করে কালোবাজারে বিক্রি করেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংস্কারের টাকা আত্মসাৎ; সরকারি টিউবওয়েল বসিয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ; জন্ম নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ; জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে জমি দখল; টিআর, কাবিখা প্রকল্পের অনিয়ম ও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগের কথা বিস্তর তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বাররা অভিযোগ করেন, এরআগে জেলেদের চাল আত্মসাৎ করার একটি ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে চেয়ারম্যান পদে হতে বরখাস্তও করেছেন। এছাড়া চেক জালিয়াতির একটি মামলায় সাজাও হয়েছিল চেয়ারম্যানের।
তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যানের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের জনগণ সরকারি অথবা বেসরকারি সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে লুটপাট করেছেন এবং করছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের সম্মানী ভাতাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এ থেকে সব মেম্বাররা পরিত্রাণ চান।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর মোবাইল নম্বরে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।