ছাত্রদল নেতার উপর হামলায় বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবি

বরিশালে ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতার উপর হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা সুরুজ আহমেদের গ্রেফতারের দাবিতে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। রোববার দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি মোহাম্মদ জীবন। অভিযুক্ত সুরুজ একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এর আগে শুক্রবার শুক্রবার রাতে চড়বাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল সিকদারকে হাতুড়িপেটা ও কুপিয়ে জখম করা হয়। অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা ও স্পিডবোট ঘাট থেকে চাঁদা তোলার প্রতিবাদ করায় রেজাউলের উপর সুরুজসহ তার দলবল এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ জীবনের। তাই অবিলম্বে সুরুজকে গ্রেফতার ও বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জীবন বলেন, এই ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানায় সুরুজ আহমেদ ও তার ভাই রমিজসহ ১৪ জনকে নামধারী আসামি করে মামলা করেছি। কিন্তু সুরুজ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে চরবাড়িয়া ইউনিয়নে স্পিডবোট ঘাট দখলসহ চাঁদাবাজি শুরু করেছে সুরুজ। স্পিডবোট চালকরা তার বিরুদ্ধে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চাঁদাবাজির অভিযোগও দেন। কিন্তু তারপরও তাকে আইনের আওতায় আনা যায়নি।
মোহাম্মদ জীবন আরও বলেন,  সুরুজ অতীতে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন না। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চরবাড়িয়া ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছিলেন। ২০০২ সালে যৌথ বাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ আটকের পর কারাভোগ শেষে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের আগে বিএনপির এক নেতার আশীর্বাদে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেন সুরুজ। যদিও ওই কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সজল আহমেদ, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বশির হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে সুরুজ আহমেদের সেলফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments (০)
Add Comment