Take a fresh look at your lifestyle.

মা, তোমাকে খুশি দেখার এটি ছিল শেষ দিন: ঈশিতা

১৯৬

ছোট পর্দার নন্দিত অভিনেত্রী রুমানা রশিদ ঈশিতা। ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার মা জাহানারা রশীদ। আজ তার মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রিয় মানুষকে হারানোর দিনে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই অভিনেত্রী।

 

মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ঈশিতা তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘তোমাকে খুশি দেখার এটি ছিল শেষ দিন। সেদিন আমি তোমাকে তোমার পছন্দের রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন শুধু আমিই জানতাম, তোমার ক্যানসার ধরা পড়েছে এবং তা চতুর্থ স্টেজে রয়েছে। এ কথা পরবর্তী দুই দিন আমি কাউকে বলিনি। তুমি জানলে এই দুই দিনে তোমার জীবনটা বদলে যেত। তাই তোমাকে তোমার মতো একটা সেরা সপ্তাহ কাটাতে দিতে চেয়েছিলাম। আমার আম্মা।’

জাহানারা রশীদের ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার পর সাড়ে তিন বছর দেশ-বিদেশের কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেছেন ঈশিতা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৫৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

 

নতুন কুঁড়ির মাধ্যমে মিডিয়াতে পা রাখেন ঈশিতা। শিশুশিল্পী হিসেবে অনেক নাটকে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালে আল মনসুরের নৃত্যনাটে প্রথম কাজ করেন তিনি। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হয় এটি। তখন ঈশিতার বয়স ছিল ছয় বছর।

সাত বছর বয়সে তিনি ইমদাদুল হক মিলনের ‘দুজনে’ নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে বেশ আলোচনায় আসেন। এছাড়াও আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘শীর্ষবিন্দু’, শহীদুল হক খানের ‘তিথি’,  মোহন খানের ‘থাকা না থাকার মাঝখানে’, ফারিয়া হোসেনের ‘গল্প কথা কল্প লোকে’ নাটকগুলোতে অভিনয় করে তারকাখ্যাতি পান এই অভিনেত্রী।

 

২০০০ সালে বিয়ে করে সংসারী হন ঈশিতা। তারপর এ অভিনেত্রীর ঘর আলো করে আসে একটি পুত্রসন্তান। ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ঈশিতা। তাদের নিয়ে অনেকটা সময় ব্যস্ত থাকেন এই অভিনেত্রী। এখন অভিনয়ে নেই বললেই চলে!

Leave A Reply

Your email address will not be published.