Take a fresh look at your lifestyle.

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত

১৯৯

তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ২ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার জন্য আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত জেলায় তাপমাত্রা একটা নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সে সমস্ত জেলা চিহ্নিত করেছি এবং সেগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বেশ কয়েকটি জেলায় এখন তাপমাত্রা ৩০ এর নিচে নেমেছে, কারণ বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে।

‘আমাদের যে অবস্থান ছিল, যে সমস্ত জেলায় তাপমাত্রা ৪০ এর ঘরে পৌঁছাচ্ছে না, সে সমম্ত জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর যে সমস্ত জেলায় তাপমাত্রা অনেক বেশি সেখানে বন্ধ থাকতে পারে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত দিয়েছি। এখন একটু আগে শুনতে পেলাম যে, আদালত থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা এসেছে। আমরা সেটি পর্যালোচনা করে, যদি কপি আমাদের কাছে দেওয়া হয় তখন আমরা বলতে পারব। কোনো লিখিত নির্দেশনা পেলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যথা সময়ে। ’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেখানে বৃষ্টি হচ্ছে, যে জেলায় তাপমাত্রা কম, সেখানে তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার যুক্তি নেই। সেটা হচ্ছে আমাদের নির্বাহী একটি অবস্থান। সংবিধান অনুসারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন বন্ধ হবে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে। উচ্চ আদালতের কিছু বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতাটা দেশের জন্য সঠিক নয় এবং এই ধরনের চাহিদা বা অনুরোধ করাটাও যথাযথ নয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন, তাও দেখার বিষয়। গরমের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুব বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়! যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো কারণ নেই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.