বরিশাল মহানগরীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সামনে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন বিসিসি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। রবিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠানে এক বক্তৃতায় উন্নয়ন প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিসিসি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বরিশাল মহানগরীতে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামলাতে বরিশালে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মেগা সিটি করা প্রয়োজন। ফজিলাতুন্নেছা মেগা সিটি বাস্তবায়ন হলে এটি হবে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মেগা সিটি প্রকল্প। মহানগরীর আয়তন বৃদ্ধি করে ৫টি জোনে ভাগ করে সুষ্ঠুভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
নগরীর সড়কগুলো খুবই সরু। এ কারণে যানজট নিত্য দিনের। চলাচলের সুবিধার্থে এবং যানজট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর দুই পাশ অধিগ্রহণ করে সড়ক সম্প্রসারণ করা জরুরি প্রয়োজন।
পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ ঝূঁকিপূর্ণ নগর ভবনে চলছে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম। আধুনিক সুবিধা সংবলিত বহুতল নগর ভবন নির্মাণের দাবি তোলেন মেয়র।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহনের চাপ বহুগুণ বেড়েছে। নগরীর যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে একটি ফ্লাইওভার এবং ৩টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ জরুরি।
তার মতে, বরিশালে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণপূর্বক দুটি গার্ভেজ গ্রাউন্ড নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। নগরীতে আধুনিক শপিং মল না থাকায় নগরবাসী আধুনিক বিপনন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কয়েকটি আধুনিক শপিংমল নির্মাণসহ ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের জন্য একটি হকার্স মার্কেট নির্মাণ জরুরি। নগরীর চারপাশে ৪টি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সিস্টেম নির্মাণের মাধ্যমে নদীর পানি বিশুদ্ধ করে নগরবাসীর মাঝে সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন তিনি। নগরীতে মেয়র ভবন না থাকায় একটি মেয়র ভবন নির্মাণেরও দাবি তোলেন বিসিসি মেয়র।