জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮৯৬ জন প্রার্থীর ভেতর ১০০ কোটির বেশি সম্পদের মালিক ১৮ জনের বেশি প্রার্থী বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এছাড়া ১৬৪ প্রার্থীর আয় বছরে এক কোটি টাকার চেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনি হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে’? শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
হলফনামায় প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতটা দেখিয়েছেন? পুরোটা দেখিয়েছে কিনা? কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ ধারণের তথ্য গোপন করেছেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিআইবির প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোম্পানি এখনও বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল স্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছে। যেসব কোম্পানির মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ২১৪৫ কোটি টাকার বেশি।
এছাড়াও দ্বাদশ নির্বাচনে ১৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ। নির্বাচনে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে ১৮ জনের।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নিবাচনে ইসির দেয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্র তুলে ধরেন ৩ সদস্যের গবেষণা দলের প্রধান তৌহিদুল ইসলাম। গবেষণা দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- রিফাত রহমান ও রফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও সুমাইয়া খায়ের।