Take a fresh look at your lifestyle.

সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

২২০

ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের প্রথমটির পর এবার দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের জালে গোল করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ আর আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলে জিতেছে সাবিনারা। এতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে স্বাগতিকরা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে বল দখল ও আক্রমণে সফরকারীদের ব্যস্ত রাখে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেন সাবিনা খাতুন। কিন্তু ভালো সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি। তবে লিড নিতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ১৬তম ‍মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন তহুরা খাতুন। ফ্রি কিকে সাবিনার বলটি হেডে সিঙ্গাপুরের জাল খুঁজে নেন তহুরা খাতুন। এর মিনিট দুয়েক পরই দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও কাউন্টার অ্যাটাক বজায় রাখেন সাবিনারা। এর ফলাফলও হাতেনাতে পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

বিরতিতে থেকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করেন তহুরা। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলটি যায় সানজিদার পায়ে। সেই সুযোগে বাম পায়ের জোড়ালো শটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে আরো পাঁচ গোল করে স্বাগতিকরা। আজকের ৮ গোলের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল পঞ্চমটি। ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা ৬২ মিনিটে বক্সের মধ্যে বাঁ পায়ে অসাধারণ শটে বল জালে পাঠান। এর পাঁচ মিনিট আগে হওয়া গোলে অবদান ছিল ঋতুপর্ণার। বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার মাইনাস তহুরা দৌড়ে গিয়ে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। একই লাইনে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা সানজিদা শট নিয়ে গোল করেন। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকটি গোল মিস করেন। পরে তিনি অবশ্য ৭৪ মিনিটে গোলের দেখা পেয়েছেন।

গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন তহুরা। ৭০ মিনিটে ঋতুপর্ণার পাসে তহুরা গোল করলেও অফ সাইডে বাতিল হয়। ৭৫ মিনিটে স্কোরলাইন ৬-০ হওয়ার পর বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। গোলরক্ষক রুপ্না, ফরোয়ার্ড তহুরা, মারিয়া ও শামসুন্নাহারকে উঠিয়ে নেন। খেলোয়াড় বদল হলেও বাংলাদেশের গোল উৎসব থামেনি। ৮৬ মিনিটে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুমি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোল করেন। ইনজুরি সময়ে শামসুন্নাহার একটি গোল করলে স্কোরলাইন ৮-০ হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.