Take a fresh look at your lifestyle.

মোদিকে ফোনে অস্ত্র কেনার চাপ ট্রাম্পের

১৫

আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ থাকবে না বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের। তাদের মতে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতার মসনদে বসার পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রথম কথোপকথনেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কার্যত ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর জুজুকে ট্রাম্প তার দেশ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কেনার সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভারসাম্য বজার রাখা ভূকৌশলগতভাবে চাপের বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোনালাপের পরে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতকে তার দেশ থেকে আরও বেশি করে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম (অস্ত্রশস্ত্র) কেনার কথা বলেছেন দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে আরও ‘ন্যায্য’ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। যদিও নির্দিষ্টভাবে এই দু’টি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। সাউথ ব্লকের বিবৃতিতে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি এবং প্রতিরক্ষার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই শীর্ষ নেতার।

মোদির সঙ্গে বাক্যালাপের পর ট্রাম্প ফ্লোরিডায় এক দলীয় আলোচনায় নেতাদের বলেছেন, “যেসব দেশ আমাদের সত্যিই ক্ষতি করতে চায়, সেই সব বাইরের দেশ এবং ব্যক্তির উপর আমরা শুল্ক চাপাব। আমাদের কাছে ক্ষতিকর, কিন্তু আসলে নিজেদের দেশের ভালই করতে চায় তারা। দেখুন না অন্যরা কী করছে! চীন বিপুল কর চাপিয়ে থাকে। ভারত, ব্রাজিল-সহ অন্য দেশও কিছু কম নয়। আমরা আর এটা হতে দিতে পারি না। আমরা আমেরিকাকেই অগ্রাধিকার দেব।”

অতীতেও এই বিষয়গুলো উত্থাপন করেছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তিনি মাঝেমধ্যেই ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি গত দু’দশকে আমেরিকা থেকে প্রচুর প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনেছে ভারত। সম্প্রতি দু’ দেশের মধ্যে তিনশ’ কোটি ডলারের প্রিডেটর ড্রোন কেনারও চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তারপরও ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি (প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম) নিয়ে আমেরিকার কিছুটা ক্ষোভ আছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত।

রাশিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র উপরে জোর দেওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা, যা মোদি ও ট্রাম্পের কথার পর হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতেও কিছুটা ফুটে উঠেছে। সূত্র: এনডিটিভিফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ডেকান হেরাল্ড

Leave A Reply

Your email address will not be published.