বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় গোলাগুলির ঘটনায় ছয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
আজ রবিবার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা জানান, গতরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ধুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ পারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকূল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ধুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রবিবার একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনি জানান, সীমান্তের একশ গজ দূরত্বে থাকা মিসকাতুন নবী দাখিল মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে গতরাত থেকেই প্রচণ্ড গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলার সীমানার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকূলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গতরাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়।