বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীদের মধ্য থেকে অপু ও সাকিব নামে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
আটক সাকিব স্থানীয় সত্তার মুন্সীর ছেলে এবং অপু নগরের পুরানপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কাগাশুরা বাজারের নির্বাচনী কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে রাসেল মুন্সীর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ তাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় রাসেল ও তার সাথে থাকা লোকজন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক রানা শরীফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলামের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় রাসেল মুন্সী। খবর পেয়ে রানা শরীফের স্ত্রী ঘটনাস্থলে এলে তাকেও লাঞ্ছিত করে দুর্বৃত্তরা।
জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, কোনো কথা না বলে আমাদের পথরোধ করে রাসেল ও তার বাহিনীর সদস্যরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে আমার সাথে থাকা রানার ওপর রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন হামলা করে।
শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, খবর পেয়ে কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সঙ্গে কানাঘুষা শুরু করেন। এ সময় রানা শরীফসহ স্থানীয়রা হামলাকারীদের আটকের কথা বললেও পুলিশ তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি।
এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম জাকির হোসেন বলেন, সদর উপজেলার বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী যে হামলা করেছে তা পরিকল্পিত। সোমবার সারা দিন বিভিন্ন ইউনিয়নে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্যায়কারী, অপরাধীরা কখনো শক্তিশালী হয় না। কোনো মাস্তান, কোনো গুন্ডা বাহিনী যতই হুমকি-ধামকি দিক, আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরাতে পারবে না। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষায় আপনারা কঠোর ভূমিকা পালন করবেন।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কাউনিয়া) সরোয়ার হোসেন জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।