বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আপস-মীমাংসার শর্তে মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (৪০) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সমনের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। বিচারক আপস-মীমাংসার শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির।
অভিযুক্ত হাসান ফেরদৌস ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, নারী কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে তালাক দেন। ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ১০-এপিবিএনে বাংলোতে ‘ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী’ ওই নারীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌসের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলাতে আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাকে মারধর করা হয়।
হুমায়ন কবির আরও জানান, একই বছর ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। এরপর ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়।
পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন। ৮ অক্টোবর ফেরদৌস বরিশাল থেকে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ‘ভুলে যেতে’ বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।
এরপর ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিশ পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন ওই নারী।