প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন পরিবহন শ্রমিকেরা । এতে বরিশালের সঙ্গে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনাসহ ১৫ রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী।
এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষার্থী, শ্রমিক মালিক ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বৈঠক হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় এই বৈঠক। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে সব পক্ষে ভেতরে সমঝোতা হয়। শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবির প্রেক্ষিতে আশ্বাস দেয় প্রশাসন। এরপর ঘোষণা দেওয়া হয় ধর্মঘট প্রত্যাহারের।
রূপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী জানান, আলোচনায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হবে। আর বন্ধের দিনে কোনো হাফ ভাড়া থাকবে না। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরাও একমত হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে বাসশ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এ খবর পেয়ে বিকেলে কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে যান এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা একটি বাসে ভাঙচুরের চালায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে বিএম কলেজের এক ছাত্রী ঝালকাঠি থেকে তাওহিদ ক্ল্যাসিক পরিবহন নামের একটি বাসে বরিশালে আসছিলেন। তিনি শিক্ষার্থী হাওয়ায় অর্ধেক ভাড়া নিতে বললে বাসচালকের সহকারী তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান এবং একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে মাঝপথে নামিয়ে দেন।
পরে কলেজের কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি বিষয়টি মীমাংসার জন্য রূপাতলী গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি ভাঙচুর করেন এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় বাস ধর্মঘট। রূপাতলী থেকে ১৫ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।