চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চিনিকলে লাগা আগুন তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি স্টেশনের ১৮ ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফলে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলম সুগার মিলে এ আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৮ ইউনিট ও নৌবাহিনী যৌথ চেষ্টায় চার ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড।
এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত গোডাউনের পাশেই কর্ণফুলী নদী। সেখানে নোঙর করা আছে অনেক লাইটারেজ জাহাজ। আগুন লাগার পর কর্ণফুলী নদীতে অবস্থান করছে চট্টগ্রাম বন্দরের দুটি টাগবোট।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আগুন যাতে কর্ণফুলী নদীতে নোঙর করা জাহাজে ছড়াতে না পারে এবং নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করা যায়, সেজন্য ঘটনাস্থলে দুটি টাগবোট পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের টাগবোট কান্ডারি-৪ ও কান্ডারি-১২ দুর্ঘটনাস্থলে আছে। ফায়ার সার্ভিস সহযোগিতা চাইলে উদ্ধারকাজে অংশ নেবে টাগবোট।’
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি সুগার মিলে লাগা আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এতে করে কারখানায় থাকা এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কারখানার সহকারী ফিটার মনির জানান, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো রমজানকে সামনে রেখে আমদানি করা হয়েছিল। এখান পরিশোধিত হয়ে চিনিগুলো মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে থেকে কিছু না জানালেও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছেন মিলের কর্মচারীরা।
এর আগে, বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর এলাকার চিনি মিলটির গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা ফায়ার স্টেশন আগুন নেভাতে কাজ করছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী।